মানুষ মাত্রই কোন না কোন ভাবে ভূমির উপর নির্ভরশীল। তন্মধ্যে আমাদের কৃষি নির্ভর দেশে ভূমির গুরুত্ব আরও বেশী। ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সংকট দিন দিন প্রকটতর হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে এদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি আইনের জটিলতা আবহমান কাল ধরে চলে আসছে। ভূমি আপীল বোর্ড মূলতঃ বিভাগীয় পর্যায়ের ভূমি রাজস্ব সংক্রান্ত সকল বিধিবদ্ধ/আপিল/রিভিশন/বিবিধ ও অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কিত আবেদন গ্রহণ এবং নিস্পত্তি করে থাকে। বর্তমানে বোর্ডে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সম্পর্কিত চলমান মামলার সংখ্যা প্রায় নয় শতাধিক। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভূমি রাজস্ব বিষয়ক আনুমানিক বিশ হাজার নিস্পত্তিকৃত মামলার নথি বোর্ডে সংরক্ষিত আছে। এই মামলাগুলোর আদেশ/রায় অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত/ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জনগন অনেক পুরোনো মামলা আদেশ/রায় ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য বোর্ডে আসে। ভূমি আপীল বোর্ড দেশের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোচ্চ আদালত। এর কাজ কোয়াশী জুডিশিয়াল প্রকৃতির।
ভূমি আপীল বোর্ডের কার্যক্রম অটোমেশন করা হলে দেশের জনগন এবং সরকার যে সুবিধাগুলো প্রাপ্ত হবে তা হলোঃ- দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মামলা যেহেতু ভূমি সংক্রান্ত সেহেতু ভূমি প্রশাসনের কম্পিউটারায়নে দুর্নীতি অনেক হ্রাস পাবে অন্যদিকে বিচার প্রার্থীদের নাগরিক সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে। সরকারের ভিশন-২০২১ এর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দিক নির্দেশনা ও নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বর্ণিত কর্মসূচীটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ভূমি আপীল বোর্ডের কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনা সম্ভব হবে। এছাড়া,সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরীতে প্রস্তাবিত কর্মসূচী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মসূচির প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য হলো: